বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সার্বভৌমত্ব রক্ষা পার্টি-সরপ এর গঠনতন্ত্র
প্রস্তাবনাঃ যেহেতু বর্তমানে মাদক, যৌতুক, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং বায়ু দূষন, স্বেচ্ছায় বিনা মূল্যে রক্ত দান, শিক্ষার উন্নতি, দারিদ্র বিমোচন কল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন, হত দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে বিনা ফিতে আইনী সেবা প্রদানসহ কতিপয় সামাজিক ও মানবিক কাজকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে গনপ্রজাতনন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রচষ্টো চালিয়ে যাচ্ছেন এবং যেহেতু সরকারের একার পক্ষে এই বিশাল জনগোষ্টিিকে উপরোক্ত বিষয়ে শতভাগ সহযোগীতা করা অত্যন্ত দূরহ সেহেতু সরকারকে উক্ত বিষয়ে সহযোগীতা করার লক্ষে কতিপয় সামাজিক ও মানবিক সংগঠন কাজ করছে। যেহেতু আমরা কতিপয় সমাজ সচেতন মানবিক নাগরিক বিগত ২০১৭ সালে সকল সামাজিক সংগঠনকে অত্র সংগঠনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জিবিত রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিগত ২২/১২/২০১৭ ইং অত্র সংগঠনের সুত্রপাত করে অদ্যাবধি সুচারু ও সু—শৃঙ্খলভালে অত্র সংগঠন পরিচালিত হয়ে আসছে। যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে অত্র সংগঠন পরিচালনার জন্য একটি নীতিমালার প্রয়েজনীয়তা অনুভূত হয়েছে সেহেতু আমরা কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার কতিপয় সমাজ সচেতন ব্যক্তি আমাদের থানাকে সর্বদিক দিক থেকে একটি মডেল থানা হিসেবে বাস্তবায়ন করার লক্ষে অত্র সংগঠনের নিম্মরুপ গঠনতন্ত্র প্রনয়ন করা হইলো।
গঠনতন্ত্রের কার্যকারিতা: অত্র গঠনতন্ত্র ১২/১১/২০২১ ইং হইতে কার্যকর হইবে।
ধারা—১: সংগঠনের সংক্ষিপ্ত শিরোনামঃ Volunteers Association of Barura (VAB) বাংলায় “ভলান্টিয়ার’স এসোসিয়েশন অব বরুড়া” সংক্ষেপে (ভাব)
ধারা—২: সংগঠনের স্থায়ী ঠিকানা: সংগঠনের আর্থিক সংগতি হওয়ার পর অনতিবিলম্বে উহার একটি স্থায়ী ঠিকানা হবে। তবে সংগঠনের কার্য্যাবলি সুচারুরুপে পরিচালনার জন্য অস্থায়ীভাবে সুবিধামত যেকোন স্থানে বসে কার্য্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে।
ধারা—৩: সংগঠনের কার্য এলাকা: কুমিল্লা জেলার সমগ্র বরুড়া থানায়
সংগঠনের কার্য্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকিবে। তবে সংখ্যাধিক্যের অনুমোদনক্রমে ইহার কার্যক্রমের এলাকা বৃদ্ধি করা যাইবে।
ধারা—৪: সংগঠনের ধরণ: ইহা একটি অরাজনৈতিক সমাজ কল্যাণমূলক সামাজিক সংগঠন হিসেবে বরুড়ার জনগনের কল্যাণে কাজ করিবে। অত্র সংগঠনের সকল কার্য্যক্রমে উস্কানীমূলক ধর্ম এবং রাজননৈতিক বিতর্কিত সকল ইস্যু সর্বদা উপেক্ষিত হইবে।
ধারা—৫: সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য: বরুড়া বাসীর মধ্যে একতা, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্ববোধ স্থাপনের মাধ্যমে জন সচেতনতা সৃষ্টি করে প্রস্তাবনায় উল্লেখিত আগ্রহী সকল প্রকার সামাজিক ও মানবিক নংগঠনকে এক কাতারে এনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করিয়া সমাজকে স্থিতিশীল রাখার জন্য নিজে কিংবা সদস্য সংগঠনকে পরামর্শ ও সহযোগীতার মাধ্যমে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন করে বাস্তবায়ন করা।
ধারা—৬: সদস্য সংগঠনের অন্তর্ভক্তি প্রকৃতি:
ক) কোন সংগঠন ভাবের সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করিলে প্রথমে সভাপতি/সাধারন সম্পাদক বরাবর আবেদন করিয়া উক্ত সংগঠনের দায়িত্ব হইবে ভাবের কর্মকান্ডকে প্রয়োজনীয় সময় নিয়ে পর্যবেক্ষন করা। ভাব ও আগ্রহী সংগঠনের আবেদন সাপেক্ষে তাহার কর্মকান্ড প্রয়োজনীয় সময় (যতদিন সন্তুষ্ট হন) নিয়ে পর্যবেক্ষন করে উক্ত সংগঠনের সদস্য পদ বিষয়ে চুড়ান্ত প্যানেলের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে উক্ত সংগঠনের সদস্য পদ চুড়ান্ত করা সাপেক্ষে সেই সংগঠন ভাবের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে বিবেচিত হইবে।
খ) ভাব উক্ত সংগঠনের সদস্য পদ প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করার পর রেজি: ফি ১০০০/— টাকা জমাদান সাপেক্ষে এবং প্রতি মাসে ১৫০/— টাকা চাঁদা পরিশোধ করার শর্তে সদস্য পদ চুড়ান্ত বলিয়া গন্য হইবে।
ধারা—৭: সদস্য সংগঠনের দায়িত্ব ও কর্তব্য:
ক) সদস্য সংগঠনের সকল কাজে অন্যান্য সদস্য সংগঠন অত্র সংগঠনের নেতৃত্বে সর্বাত্মক সহযোগীতা করিতে বাধ্য থাকিবে।
খ) সংগঠনের নীতি নির্ধারনী প্যানেলের তরফ থেকে গৃহিত সকল সিদ্ধান্ত নির্দিধায় পালন করিতে বাধ্য থাকিবে।
গ) সকল সদস্য সংগঠনের নিজস্ব গঠন তন্ত্র থাকিতে পারিবে তবে অত্র সংগঠনের বিধি পরিপন্থি কোন বিধান উক্ত গঠন তন্ত্রে সন্নেবেশিত করিতে পারিবে না।
ঘ) সংগঠনের মাসিক সমন্বয় সভায় প্রত্যেক সদস্য সংগঠনের সভাপতি/সাধারন সম্পাদক মহোদয় বাধ্যতামূলকভাবে উপস্থিত থাকিতে হইবে।
ঙ) কোন সংগঠনের প্রতিনিধী ধারাবাহিকভাবে দুইটি মাসিক সমন্বয় সভায় অনুপস্থিত থাকিলে উক্ত সংগঠন প্রাথমিকভাবে শোকজসহ সদস্য পদ হারাইবে।
চ) ধারাবাহিকভাবে ৪টি মাসিক সমন্বয় সভায় অনুপন্থিত থাকিলে চুড়ান্তভাবে সদস্য পদ হারাইবে।
ছ) কোন সদস্য সংগঠন যথাযথ কারন উল্লেখ করে নীতি নির্ধারনী প্যানেলের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে তাহার সদস্য পদ ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে উপরের কোন বিধানই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিবে না।
ধারা—৮: সদস্য/ সদস্যদের শ্রেণী বিভাগঃ অত্র সংগঠনে দুই ধরনের সদস্য থাকিবে, যথা;
১. সাধারণ সদস্য ও
২. দাতা সদস্য।
ধারা—৯: অভিবাবক কাউন্সিল: অত্র এসোসিয়েশনের সাধারন সদস্য ও দাতা সদস্যদের মধ্য থেকে যে সকল সদস্য মাসিক সমন্বয় সভার ৮০% উপস্থিত থাকবে তাদের সমন্বয়ে একটি অভিভাবক কাউন্সিল থাকিবে।
ধারা— ১০: সদস্যদের যোগ্যতাঃ
ক. সাধারণ সদস্য: কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানা এলাকার ভাবের সদস্যভুক্ত সকল সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ভাবের সাধারন সদস্য হিসেবে পরিগনিত হইবেন।
খ) দাতা সদস্য; এসোসিয়েশনের সাবেক নেতৃবৃন্দ বার্ষিক ৫,০০০ টাকার কম নহে অনুদান সাপেক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দাতা সদস্য হইতে পারিবেন।
গ) ভাবের কাজের সহিত একাত্মতা পোষন করিয়া সমাজের কোন সম্মানিত ব্যক্তি ভাবের সহিত জড়িত হইতে চাইলে তাহাকে অভিবাবক পরিষদ ও নির্বাচিত কমিটির সম্মতি সাপেক্ষে বাৎসরিক ১০,০০০/— টাকার নিম্মে নহে অনুদান দিয়া দাতা সদস্য হইতে পারিবেন।
ঘ) যে সকল ভলান্টিয়ার আর্থিকভাবে অসচ্ছল তথাপিও সংগঠনের প্রতি আন্তরিকতা ও ভালোবাসা আছে সে সকল ভলান্টিয়ারকে আনপেইড ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজের সুযোগ দেওয়া হইবে। তাহারা সংগঠনের প্রয়োজনে নিজেকে উজাড় করে দিবে। তাদের পারফর্মেন্স ভিত্তিক তারা যে কোন পদে পদায়িত হওয়ার যোগ্য লিয়া বিবেচিত হইবেন।
ধারা—১১: সদস্যদের অযোগ্যতা ও পদ শুন্য হওয়া
১. কোন সদস্য যদি স্বে‛ছায় পদত্যাগ করেন।
২. যদি মানসিক ভারসাম্য হারান।
৩. যদি পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন বা সংগঠনের কাজে নিক্রিয় ও অকর্মণ্য হয়ে পড়েন।
৪. যদি এসোসিয়েশনের স্বার্থ পরিপন্থি কোন কাজ করেন বা তার স্বভাব, আচরণ সমিতির স্বার্থের পরিপন্থি হয় বা কোন কারনে নৈতিক স্থংখলের অভিযোগে অভিযুক্ত হন এবং তাহা প্রমানিত হয় অথবা সংগঠনের তহবিল তসরূফ করেন।
৫. যদি পর পর ৪ মাস চাঁদা পরিশোধ না করেন।
৬. কোন সদস্যের মৃত্যু হলে অথবা মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটলে অথবা আদালত কতৃর্ক সাজা বা দন্ড প্রাপ্ত হলে।
৭. কোন সদস্য/সদস্যা এসোসিয়েশনে চাকরি গ্রহণ করলে তার সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে এবং কোন সদস্য সংগঠন হইতে বেতন, ভাতা গ্রহণ করলে সে ক্ষেত্রে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে। তবে সংগঠনের কোন প্রকল্প গ্রহণ করলে কার্যকরি পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে পরিষদের কোন সদস্যকে প্রকল্পের দায়িত্ব প্রদান করা যাবে, তবে তাহাকে কোন নির্ধারিত বেতন ভাতা দেয়া যাবে না।
ধারা—১২: সদস্যদের অধিকার:
১. সকল সদস্যগণ সংগঠনের সাধারণ সভায় যোগদান করিবেন এবং কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তবে কোন সদস্যের চাঁদা বকেয়া থাকিলে বা অন্যভাবে সংগঠনের নিকট দায়বদ্ধতা থাকিলে তিনি কোন পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
২. কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্যের বা কর্মকর্তার কার্যকলাপ আচার ব্যবহার সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর বিবেচিত হইলে উপস্থিত সদস্যের ২/৩ অংশ ভোটে কার্যকরী পরিষদ তাহার বিরূদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
ধারা—১৩: পূণ সদস্য পদ গ্রহনঃ যে কোন সদস্য সংগঠন তাহার ভুলের জন্য পদ হারাইলে এবং তাহার ভুলের জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমা প্রার্থনা করিলে এমন সংগঠনকে সংখ্যাগরিষ্টের সমর্থনে পূর্ন:ভর্তি ও সুযোগ দেওয়া যাবে তবে ভর্তির জন্য নতুন করে আবেদন করতে হবে।
ধারা—১৪: এসোসিয়েশনের কাঠামো এবং তাদের ক্ষমতা: এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য সাংগঠনিক কাঠামো হবে ৪টি। যেমনঃ—
১) সাধারণ পরিষদ,
২) কার্যকরী পরিষদ
৩), অভিভাবক কাউন্সিল
৪) দাতা পরিষদ।
১) সাধারণ পরিষদ: সকল সদস্য নিয়ে সাংগঠনিক সকল পদ পূর্ন করে গঠিত হবে সাধারণ পরিষদ তবে সাধারণ পরিষদের সদস্য সংখ্যা এর কোন উদ্ধসীমা থাকিবে না এবং উক্ত পরিষদের মেয়াদ হইবে বছর। ভাবের সদস্য সংগঠনের সকল সদস্য সাধারন পরিষদের সদস্য হিসেবে পরিগনিত হইবে।
২) কার্যকরী পরিষদ: কার্যকরী পরিষদে ২ বৎসরের জন্য একটি কার্যকরী পরিষদ থাকিবে। উক্ত পরিষদ সাধারন পরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকেই নির্ধারিত হইবেন উক্ত পরিষদের কার্য্য হইবে অত্র এসোসিয়েশসনের স্বার্থে সকল কার্যে্যর উদ্যোগ গ্রহন করে বাস্তবায়ন করা এবং এর ক্ষমতা সসীম থাকিবে। কার্য্যকরী পরিষদ অবশ্যই নিম্নলিখিত পদ সমূহ পূর্ন করিয়া গঠিত হইবে।
১) সভাপতি,
২) সিনিয়র সহ—সভাপতি,
৩) সহ—সভাপতি,
৪) সাধারণ সম্পাদক,
৫) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,
৬) সাংগঠনিক সম্পাদক,
৭) কোষাধ্যক্ষ,
৮) মহিলা বিষয়ক সম্পাদক,
৯) সমাজকল্যাণ সম্পাদক,
১০) ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক,
১১) শিক্ষা সম্পাদক,
১২) দপ্তর সম্পাদক,
১৩) আইন সম্পাদক,
১৪) প্রচার সম্পাদক,
১৫) মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক,
১৬) সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক,
১৭) প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক,
১৮) আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক,
১৯) ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক ।
অভিবাক পরিষদ চাইলে আরও প্রয়োজনীয় সম্পাদক পোস্ট তৈরী করিয়া সম্পাদক মনোনয়ন দিতে পারিবেন এবং প্রয়োজনের তাগিদে প্রত্যেক সম্পাদক পদে সহ সম্পদক পদেও মনোনয়ন দিতে পারিবেন। অভিবাবক পরিষদ এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য পদে সবোর্চ্ছ ৭ জনকে মনোনয়ন দিতে পারিবেন।
৩) অভিবাবক কাউন্সিল: অত্র এসাসিয়েশনের সকল লক্ষ ও উদ্দেশ্যের প্রতি অনুগত এবং মাসিক সমন্বয় সভার ৮০% উপস্থিতি নিশ্চিৎকারী সকল সদস্য অভিবাবক কাউন্সিল এর সদস্য হিসেবে পরিগনিত হইবে। অভিবাবক কাউন্সিলের প্রধান সংগঠনের ঐক্যের প্রতিক হিসেবে পরিগনিত হইবে। সংগঠনের কোন দ্বিধা বিভক্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এবং যে কোন ক্রান্তি লগ্নে উক্ত ঐক্যের প্রতিকের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলিয়া পরিগনিত হইবে। ঐক্যের প্রতিক নির্ধারিত হইবে অভিবাবক কাউন্সিলের ২/৩ শতাংশের অনাস্থা/সম্মতিক্রমে এবং উক্ত ২/৩ শতাংশের সম্মতিক্রমে উক্ত ঐক্যের প্রতিক অপসারিত হইবেন। ঐক্যের প্রতিকের নেতৃত্বে অভিবাবক কাউন্সল গঠিত হইবে। অভিবাবক কাউন্সিলের পরামর্শক্রমে সংগঠনের সভাপতি সাধারন সম্পাদক নির্ধারন হইবে। সভাপতি সাধারন সম্পাদক পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করিবে। উক্ত কাজে সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক চাইলে ঐক্যের প্রতিকের সহযোগিতা নিতে পারিবেন। কার্যকরী কমিটির সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক ধারাবাহিকভাবে ২ বারের বেশি সময় নির্বাচিত হইবার অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন।
৪) দাতা পরিষদ: যে সকল সমাজ হিতৈষী ব্যাক্তি ভলান্টিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বরুড়া (ভাব) এর কাজে অনুপ্রানিত হইয়া এসাসিয়েশনের সাথে ব্যক্তিগতভাবে যুক্ত থাকিতে চায় তাহলে উক্ত ব্যাক্তি বার্ষিক ২০,০০০/— টাকার নিম্মে নহে অনুদান সাপেক্ষে ভাবের দাতা পরিষদের সদস্য হইতে পারিবেন এবং তিনি ভাবের সকল কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করিতে পারিবেন। তবে তিনি কার্যকরী কমিটির সদস্য হইতে পারিবেন না। উল্লেখ্য যে দাতা পরিষদের সদস্য মাসিক সমন্বয় সভায় ৮০% উপস্থিতির ভিত্তিতে অভিবাবক কাউন্সিলের সদস্য হইতে পারিবেন।
ধারা—১৫: প্রতি বৎসর এসাসিয়েশনের প্রতিষ্ঠা তারিখ থেকে বর্ষ গননা হইবে।
ধারা—১৬: কার্যকরী পরিষদের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কার্যাবলী:
কার্যকরী পরিষদ সংগঠনের যাবতীয় উন্নতি উহার উদ্দেশ্য সফল করার জন্য নিম্নলিখিত দায়িত্ব পালন করবে।
১. সংগঠনের প্রয়োজনীয় খরচের অনুমোদন করা।
২. বিশেষ কার্য সম্পাদনের জন্য উপ—কমিটি গঠন করা।
৩. সভার তারিখ, দিন, সময়, স্থান এবং বিষয় নির্ধারণ করা।
৪. সংগঠনের সকল হিসাব নিকাশ, খরচের ভাউচার, ক্যাশ বই, ব্যাংক একাউন্ট সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা।
৫. নিবন্ধীকরণ কতৃর্পক্ষের যাবতীয় নিয়ম ও শর্ত বাস্তবায়ন সাপেক্ষে সংগঠনের নিবন্ধন নিশ্চিৎ করা।
৬. সংগঠনের প্রশাসনিক, আর্থিক ও পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ করা।
৭. কোন সদস্য সদস্যপদ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করা।
৮. প্রতি মাসে ১ টা করে কার্যকরী পরিষদের সমন্বয় সভা করার ব্যবস্থা করা, মাসিক সভার নোটিশ ৩ দিন পূর্বে এবং জরূরী সভার নোটিশ ১ দিন আগে সর্বরাহ করার ব্যবস্থা করা।
৯. ১/২ অংশ সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করা (কোরাম পূর্ণ করা)।
১০. প্রয়োজনবোধে কোন বিশেষ ক্ষেত্রে নিয়মাবলী প্রণয়ন করা।
১১. সময়ের প্রয়োজনে গঠনতন্ত্র সংশোধন বা যোজন বিয়োজন করে গঠনতন্ত্র সময়োপযোগি করা।
১২. সাধারণ সম্পাদক বার্ষিক রিপোর্ট ও হিসাব পরীক্ষকের রিপোর্ট বিবেচনা করা।
১৩. কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য পর পর ৩টি সভায় কোন কারণ ব্যতিরেকে উপস্থিত না হইলে তাহাকে নিয়মিত নোটিশ পদ্রান করা।
১৪. নোটিশ নিশ্চিত করার পর কোন সদস্য সভায় উপস্থিত না হলে তাহার সদস্যপদ বাতিল করা।
১৬. সভাপতি সংগঠনের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি গঠনতন্ত্রের যে কোন ব্যাখ্যা দান করবেন। তিনি সংগঠনের সকল প্রকার সভার সভাপতিত্ব করবেন।
১৭. সভা পরিচালনার কাজে সভাপতির অনুমোদনক্রমে সাধারন সম্পাদকের পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে এবং কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের সভার নিয়মাবলী নির্ধারণ করিবেন।
১৮. সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহসভাপতিদের মধ্যে উপস্থিত একজন সাংগঠনিক বয়োজেষ্ঠতার ভিত্তিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করিবেন।
১৯. সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের সাংগঠনিক প্রধান হিসাবে কাজ করিবেন। তিনি সংগঠনের কার্যক্রম কর্মসূচী প্রণয়ন ও প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকরি পরিষদের সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করিবেন।
২০. সাধারন সম্পাদক সকল প্রকার বিল, ভাউচার, লেনদেন, কাগজপত্র পরীক্ষা করে নিজে অনুমোদনের জন্য যথাযথ কতৃর্পক্ষের নিকট পেশ করিবেন এবং যাবতীয় হিসাবের জন্য জবাবদিহি করিবেন এবং এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকিবেন।
২১. সভাপতির পরামর্শক্রমে সকল ধরনের সভা আহবানের দিন, তারিখ, সময়, স্থান ও বিষয় নির্ধারণ করে নোটিশ বিতরণের ব্যবস্থা করিবেন।
২২. সাধারন সম্পাদক বার্ষিক কার্যবিবরণী প্রস্তাব করিবেন এবং বার্ষিক আয়—ব্যয়ের হিসাব ও অডিট রিপোর্ট কার্যকরী পরিষদে ও সাধারণ সভায় পেশ করিবেন।
২৩. সাধারন সম্পদাক পরবর্তী বৎসরের জন্য সম্ভাব্য আয় ব্যয়ের একটি বাজেট তৈরী করে অনুমোদনের জন্য কার্যকরী পরিষদের নিকট পেশ করিবেন।
২৪. তিনি সভাপতির স্বাক্ষরিত এসোসিয়েশনের জিসিনপত্রের একটা রেজিস্টার সংরক্ষন করিবেন এবং দায়িত্বভার অর্পনকালে পরবতীর্ দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধির নিকট কাগজপত্র বুঝাইয়া দিবেন।
২৫. সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ এর সাথে ব্যাংকের লেনদেনে যৌথ স্বাক্ষরদাতা হবেন এবং এই দুইজনের যৌথ স্বাক্ষর ব্যাতিত ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করিতে পারিবেন না।
২৬. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমিতির বিভিন্ন কাজে সাধারণ সম্পাদককে সর্বোতভাবে সাহায্য করবেন এবং সাধারণ সম্পাদক কতৃর্ক প্রদত্ত বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে উইস্তিত যে কোন একজন যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বয়োজেষ্ঠতার ভিত্তিতে সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।
২৭. সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনের উন্নয়ন কল্পে সকল ধরনের সদস্যগণের সঙ্গে ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করবেন। তিনি এসোসিয়েশনের নিয়ম কানুন বিধি ও উপবিধি সংরক্ষণ ও তদারকি করিবেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যা কিছু করার প্রয়োজন তা তিনি পালন করিবেন, কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে সংগঠনের অন্যান্য গুরূত্বপূর্ণ কাজ তিনি পালন করিবেন।
২৮. কোষাধ্যক্ষ সংগঠনের সকল আয়—ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করিবেন। তিনি সকল প্রকার চাঁদা, বিশেষ চাঁদা, অনুদান সরকারী, বেসরকারী সংস্থার সাহায্য সংগঠনের অনুমোদিত রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করিবেন এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবগত করিয়া সংগঠনের একাউন্টে জমা রাখিবেন এবং জরূরী খরচের জন্য সভপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জ্ঞাতানুসারে সবোর্চ্চ ৫,০০০/— (পাঁচ হাজার) টাকা পর্যন্ত হাতে রাখিতে পারিবেন। তিনি সাধারণ সভায় অর্থ বিষয়ক রিপোর্ট পেশ করিবেন। তিনি তার কাজের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তথা কার্যকরী পরিষদের নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন। তিনি তাহার/ সধারণ সম্পাদক এর যুক্ত স্বাক্ষরে ব্যাংক হইতে টাকা উঠাইতে পারিবেন। কোষাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যুক্ত স্বাক্ষরে ব্যাংক হইতে টাকা উঠানো যাইবে।
২৯. সমাজকল্যাণ সম্পাদক কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে সমাজের সেবামূলক অন্যান্য কাজ কর্ম পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তিনি যথাযথ মর্যাদায় এসোসিয়েশনের লক্ষ উদ্দেশ্যের সাথে সংগতিপূর্ন, ধমীর্য়, সামাজিক ও জাতীয় দিবসগুলো পালন করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন এবং কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে তা বাস্তবায়নরে উদ্যোগ নিবেন তবে কোন রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান যাহা এসোসিয়েশনকে ক্লাসিফাইড করার দিকে ধাবিত করিতে পারে এমন সকল কার্য্য এবং কর্মসূচী এড়িয়ে চলিবেন।।
৩০. দপ্তর সম্পাদক সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনক্রমে সংগঠনের উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে যে কোন ব্যক্তি বা সংস্থার সাথে চিঠি পত্র আদান প্রদান করবেন। অফিসের যাবতীয় কাজ তাহার হাতে ন্যস্ত থাকিবে। তিনি দাপ্তরিক সকল কার্যক্রম চালাইয়া যাইবেন।
৩১. আইন সম্পাদক সংগঠনের আইন বিষয়ে যাবতীয় শলা পরামর্শ প্রদান করিবেন। কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে তিনি সংগঠন এলকার আওতাধীন অসহায় গরীব সদস্যদের আইনী সহায়তা দিবেন। সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করিতে গিয়ে আইনী জটিলতায় পড়িলে তিনি যথাযথ কতৃর্পক্ষের সাথে আইন বিষয়ে পরামর্শ করে কার্যকরী পরিষদে অবহিত করিবেন।
৩২. প্রচার সম্পাদক সংগঠনের আদর্শ উদ্দেশ্য কার্যক্রম সংগঠনের সদস্যদের, অসচেতন লোকদের এবং জনস্বার্থে প্রচার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করিবেন। তিনি সংগঠনের সাধারণ সভা/ বিশেষ সাধারণ সভা ও অন্যান্য কার্যক্রম প্রচারে সর্বাত্মকভাবে কাজ করিবেন।
ধারা—১৭ঃ সভার নিয়মাবলীঃ—
১. সাধারণ সভা;
ক) সাধারণ সভা প্রতি এক বছর পর পর অনুষ্ঠিত হইবে। ১৫ (পনের)—দিনের নোটিশ এবং মোট সদস্যদের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে।
খ) বিশেষ কারণে কোরামের অভাবে নির্দিষ্ট তারিখে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত না হইলে পরবতীর্ ৩০ দিনের মধ্যে একই স্থানে একই সময়ে সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
গ) সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট ও এসোসিয়েশনের আয় ব্যয়ের হিসাব কার্যকরি পরিষদের সভা (পরীক্ষিত) হিসাবে অনুমোদন করবেন।
২. কার্যকরি পরিষদের সভা: কার্যকরি পরিষদের সভা মাসে ১ বার অনুষ্ঠিত হইবে উক্ত সভা মাসিক সমন্বয় সভা হিসেবে অভিহিত হইবে। মোট সদস্যের ১/৩(দুই তৃতীয়াংশ) এর উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হইবে। ৭ (সাত) দিনের নোটিশে কার্যকরী পরিষদের সভা আহবান করতে পারবেন। তবে বিশেষ কারণে ২ মাসে ও ১ বার কার্যকরী পরিষদের সভা আহবান করিতে পারিবেন।
৩. বিশেষ সারধণ সভা: যে কোন কারণে বিশেষ সাধারণ সভা ৩ (াতন) দিনের নোটিশে আবহবান করা যাবে। তবে এ সভায় বিশেষ এজেন্ডা ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাইবে না। বিশেষ এজেন্ডা বিষয় লিপিবদ্ধ করে নোটিশ প্রদান করতে হবে। মোট সদস্যের ১/৩ (এক তৃতীয়াংশ) এর উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হইবে।
৪. জরুরী সভা: এসোসিয়েশনের সাধারণ পরিষদের সভা ৩ (তিন) দিনের নোটিশে এবং কার্যকরী পরিষদের জরূরী সভা ৩ (তিন) দিনের নোটিশে আহবান করিতে পারিবেন। তবে প্রত্যেক সভায় মোট সদস্যের ১/৩ (এক তৃতীয়াংশ) উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হইবে।
৫. তলবী সভা: কমপক্ষে মোট সসদ্যের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্য বিশেষ সাধারণ সভায় এজেন্ডা বা উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে স্বাক্ষর দান করে তলবী সভার আবেদন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দিতে পারিবেন। সভাপতি সাধারণ সম্পাদক তলবী সভার আবেদন প্রাপ্তির ২১ দিনের মধ্যে তলবী সভার আহবান করিবেন কিন্তু তাহারা অনুরুপ না করিলে তলবী সদস্যবৃন্দ নোটিশ জমার ২২ দিন পর ১৫ দিনের নোটিশে সভা আহবান করিতে পারবেন। তবে তলবী সভা সংগঠনের অফিসে ডাকিতে হইবে। মোট সদস্যের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) এর উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হইবে।
৬. মূলতবী সভাঃ সাধারণ সভায় নিধার্রিত সময়ের সবোর্চ্ছ ১ ঘন্টায় বিলম্বে সভা করা যাবে, অন্যথায় স্থগিত করতে হবে। সাধারণ সভা কোরামের অভাবে স্থগিত করলে ৩০ দিনের মধ্যে স্থগিত সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং ঐ সাধারণ সভা কোরাম না হলে যতজন সদস্য উপস্থিত থাকিবেন তাদের নিয়েই সভা অনুষ্ঠিত ও তাদের মতামত/সিন্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। কার্যকরী পরিষদের সভা দুইবার কোরামের অভাবে স্থগিত হলে তৃতীয়বার উপস্থিত সদস্যদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে ।
ধারা—১৮: সাধারণ পরিষদের ক্ষমতাঃ সংগঠনের সকল ক্ষমতা সাধারণ পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে। সংগঠনের স্বার্থে সাধারণ পরিষদ যে কোন সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারবে। সংগঠনের সাধারণ পরিষদের নিযুক্ত বা পর্যবেক্ষক হিসাবে কার্যকরী পরিষদের বা অন্যান্য সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন।
ধারা—১৯: সাধারণ সভার কার্যক্রমঃ
(১) নাম স্বাক্ষরের মাধ্যমে উপস্থিতি নিরূপন করা।
(২) গত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন করা।
(৩) সর্বপ্রকার রিপোর্ট পেশ এবং আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
(৪) গঠনতন্ত্র সংশোধন (যদি থাকে)
(৫) মূলতবী প্রস্তাব/বিবিধ।
(৬) সভাপতি কিংবা কোষ্যধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকলে বা সভাপতিত্ব করতে অস্বীকার করলে বা অপরাগ হলে উপস্থিত সদস্যদের প্রস্তাব ও সমর্থনের মাধ্যমে একজনকে সভাপতির দায়িত্ব অপর্ণ করা যাবে।
ধারা—২০: সংগঠনেরর আয়ের খাতঃ
ক.
১) সদস্য সংঘঠনের অন্তর্ভূক্তি ফি মাসিক চাঁদা এবং দাতা পরিষদের সদস্যদের প্রদেয় অনুদান,
২) ব্যক্তি, দেশী, প্রবাসী ব্যাক্তি সংস্থা সমূহ বা কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান এবং সরকার হইতে প্রাপ্ত অনুদান।
৩) যে কোন তফসিলী ব্যাংক বা ফাউন্ডেশন বা সরকারী অনুমোদিত কোন সংস্থা হইতে কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের ২/৩ শতাংশের অনুমোদনক্রমে বিশেষ প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ করা যাইবে।
৪) সংগঠনের স্ব পরিচালিত কোন প্রকল্প থেকে আয়।
৫) আর্থিক বছর শেষে তহবিলের অর্থ বা জমাকৃত তহবিলের অর্থ সদস্যদের মাঝে বন্টন করা যাবে না। উক্ত অর্থ এসোসিয়েশনের কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের ২/৩ অংশের সম্মতিক্রমে এসোসিয়েশনের স্বার্থে এবং সময়ের চাহিদা অনুসারে শুধুমাত্র সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে এবং কল্যাণমুখী কাজে খরচ করিতে পারিবে।
ধারা—২১: আর্থিক ব্যবস্থাপনা:
১.সংগঠনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এলাকাস্থ বাংলাদেশী যে কোন সিডিউল ব্যাংকে সংঘঠনের নামে একটি চলতি/সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে।
২. উক্ত চলতি/সঞ্চয়ী হিসাবটি সংঘটনের সভাপতি সধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ এই তিন জনেরর যৌথ স্বাক্ষর খোলা হবে। তবে সংগঠনের, তিন জনের শিরোনামে ২ জনের স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন হইবে কারও ব্যাপারে অনাস্থা আসিলে সভার সিদ্ধন্তক্রমে নতুন সিগনেটরী অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে। সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ এর যৌথ স্বাক্ষেও টাকা উত্তোলন করা যাবে এদের মধ্যে কেহ অনুপস্থিত থাকিলে সভাপতি ও অন্য যে কোন একজনের স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা যাবে।
৩. সদস্যরা সংগঠনের নামে সংগৃহীত অর্থ কোন অবস্থাতেই হাতে রাখতে পারবে না। অর্থ প্রাপ্তির সাথে সাথে নগদ/চেকের অর্থ সংশি¬ষ্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে। সংগঠনের কাজের স্বার্থে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতে রাখা যাবে।
৪. দৈনন্দিন কাজে খরচ মিটানোর জন্য সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক সবোর্চ্ছ ৫,০০০(পাঁচ হাজার) টাকা মাত্র ব্যয় এর অনুমোদন করতে পারবেন।
৫. সংগঠনের উন্নয়নকল্পে এবং জরূরী দূযোর্গের সময় কাজ কর্ম যাহাতে অব্যাহত থাকতে পারে সে জন্য একটি রিজার্ভ ফান্ড গঠন করতে পারবেন।
৬. প্রতি বৎসর আদায় অর্থের ১০ ভাগ রিজার্ভ ফান্ডে রাখা যাবে।
৭. উক্ত রিজার্ভ ফান্ডের টাকা সাধারণ কোন কাজে খরচ করতে পারবেন তবে বিশেষ দরকার হলে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফান্ডের অর্ধেক পরিমাণ অর্থ খরচ করা যাবে।
৮. সংগঠনের অনুমোদিত রশিদ বহির মাধ্যমে সংগঠনের যাবতীয় চাঁদা ও অন্যান্য আদায় করতে হবে।
৯. আদায়কৃত চাঁদা/অনুদান কোন সদস্য ৩(তিন) দিনের বেশী নিজের নিকট রাখতে পারবেন না।
১০. কোন সদস্য দ্বারা চাঁদা আদায়ের রশিদ বহি হারানো গেলে ঐ বহির মাধ্যমে আদায়কৃত সম্পূর্ণ অর্থ তদন্ত সাপেক্ষে জমা করতে হবে।
ধারা—২২: গঠনতন্ত্র সংশোধনঃ এসোসিয়েশনের লক্ষ ও উদ্দেশ্য অক্ষুন্য রাখিয়া সংগঠনের গঠনতন্ত্রের যে কোন বিষয়ের উপর সংশোধনী আনয়ন, সংযোজন ও বিয়োজন করণের জন্য সাধারণ সভা বা বিশেষ সধারণ সভার ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্যের অনুমোদন নিতে হইবে, সদস্যদের অনুমোদন সাপেক্ষে উক্ত সংশোধন কার্যকর বলিয়া বিবেচিত হইবে।
ধারা—২৩: নিবার্চন পদ্ধতিঃ অত্র এসাসিয়েশনের নির্বাচন পদ্ধতি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে হইবে না। শুধুমাত্র নির্বাচন কালীণ অভিবাবক কাউন্সিলের সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত হইবে। তবে অভিবাবক কাউন্সিল কার্যকরী কমিটিতে মনোনয়নের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭০% এর নিম্মে মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত কাউকে স্থান পাওয়ার জন্য প্রাথমিক যোগ্যতা বিবেচনা করিতে বাধ্য থাকিবেন।
ধারা—২৪: কমিটির মেয়াদঃ নিবার্চিত বা মনোনীত হওয়ার দিন হতে পরবতীর্ ২ (দুই) বৎসরের মেয়াদে কার্যকরী পরিষদ গঠিত হইবে।
ধারা—২৫: নিবার্চন কমিশনঃ অত্র এসোসিয়েশনের অভিবাবক কাউন্সিল নির্বাচন কালীন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা পালন করিবেন। নিবার্চন পরিচালনার জন্য কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য নির্বাচন পরিচালনা কার্যে্য অংশ গ্রহণ করিবেন না।
ধারা— ২৬: আইনগত বাধ্যবাধকতাঃ অত্র গঠনতন্ত্রে যা কিছুই উল্লে¬খ থাকুক না কেন অত্র সংগঠন ১৯৬১ ইং সালের ৪৬নং অধ্যাদেশ THE VOLUNTARY SOCIAL WELFARE AGENCIES (REGISTRATION AND CONTROL) ORDINANCE এর আওতায় সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সংশি¬ষ্ট কতৃর্পক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকরী হইবে।
ধারা— ২৭: সংগঠনের অবলুপ্তিঃ
ক) যদি কোন সুনির্দিষ্ট সন্তোষজনক কারণে মোট ৩/৪ অংশ সদস্য সংগঠনেরর বিলুপ্তির পক্ষে রায় দেন তাহলে অত্র সংগঠন বিলুপ্ত হইতে পারে বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত ঘোষণা হলে সংগঠনের যাবতীয় স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ও অর্থ হইতে দায় দেনা পরিশোধের পর বাকী সম্পদ কোন জনকল্যাণ মূলক প্রতিষ্ঠানে প্রদান করা যাবে এবং উক্ত অবলুপ্তির সংবাদ খবরের কাগজে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করিতে হইবে।